Category: যুক্তরাজ্য (ইউকে)

বাংলাদেশিদের নি‌য়ে ‘অযা‌চিত মন্তব‌্য’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর 

নির্বাচনি বিতর্ক চলাকালে ‘অযা‌চিতভা‌বে’ বাংলাদেশের নাম টে‌নে এনেছেন যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতায় এলে বাংলা‌দেশের মতো দেশগুলো থেকে আসা য‌া‌দের বৈধ কাগজপত্র নেই, তা‌দের নিজ দে‌শে ফেরৎ পাঠা‌নো হ‌বে।’ মঙ্গলবার (২৫ জুন) যুক্তরা‌জ্যের প্রভাবশালী দৈ‌নিক ‘ডেইলি সা‌ন’ আ‌য়োজিত এক‌টি বিতর্ক অনুষ্ঠা‌নে তি‌নি এ মন্তব‌্য ক‌রেন। এদিকে তার মন্ত‌ব্যে ব্রিটে‌নের বাংলা‌দেশি ক‌মিউনিটি‌তে প্রতি‌ক্রিয়ার সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। 

কেন কনজারভেটিভদের রঙ নীল ও লেবারের লাল?

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ ভোটাররা তাদের টেলিভিশন, মেইলবক্স এবং সংবাদমাধ্যমে রঙের স্রোত দেখছেন। বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডের মতো, রাজনৈতিক দলগুলোও জানে, একটি স্পষ্ট রঙ ব্যবহার তাদেরকে সহজেই চেনাতে সাহায্য করে— হোক তা প্রচারণায় বা ভোটের সর্বশেষ ফলে। ৪ জুলাই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভদের নীল রঙের মুখোমুখি হবে লেবারের লাল রঙ। নির্বাচনে জেতার জন্য দল দুটিরই কেবল বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আরও ছোট দলগুলোর বিভিন্ন রঙের সমাহার রয়েছে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের রঙ কমলা, রিফর্ম ইউকের ফিরোজা এবং গ্রিন পার্টির রঙ সবুজ। স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি হলুদ রঙ ব্যবহার করে, যেখানে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সিন ফেইন এবং ওয়েলসের প্লেইড কিমরি প্রায় কাছাকাছি সবুজ রঙ ব্যবহার করে।

ব্রিটেনে বাঙালিপাড়ায় ভোট: শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ

পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস একটি দ্রুত বিকাশমান পৌর এলাকা। অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিলের ভেতরে আছে বাঙালি অধ্যুষিত দুটি আসন— ‘বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো’ এবং ‘পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ’। এই দুই আসনে এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই নারী রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে রুশনারা ও আফসানার পাশাপাশি লড়ছেন আরও কয়েকজন প্রার্থী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দুই আসনের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাঙালি মেয়র লুৎফুর রহমানের সমর্থন। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি নীরব ভুমিকা পালন করছেন। সবমিলিয়ে নানান হিসাব-নিকাশে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের নির্বাচনি মাঠ।