সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:
ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরসে হিন্দু সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) হাথরসে হিন্দু ধর্মের ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আর তখনই ঘটে এমন ঘটনা। কিছু বুঝে উঠার আগেই ভিড়ের চাপে প্রাণ হারান অসংখ্য মানুষ।
জানা যায়, হাথরাসের রতিভানপুরে শিবপুজোর সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান ছিল। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন অনেকে। তখনই ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উত্তরপ্রদেশের ইটাহর এসএসপি রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, হাথরাস জেলার সিকানদ্রারাও থানার অন্তর্গত ফুলরাই গ্রামে ভোলেবাবা সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার হওয়াদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আলিগড়ের আইজি বিষয়টি বলেন, ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যতদূর জানা গিয়েছে রতিভানপুরে ভগবান শিবের উদ্দেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে এতো প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন হাথরাস ও ইটাহর বাসিন্দা। মৃতদের আলিগড় ও ইটাহতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।